স্বপন কুমার ঢালী, বেতাগী ::
বেতাগীতে প্রজনন মৌসুমে ইলিশ সম্পদ সংরক্ষনে ইতিবাচক সাড়া পড়েছে। গত কয়েকদিন আগেও এখানের বাজারগুলো ছিল বিষখালীর ইলিশের ছড়াছড়ি কিন্তু অভিযানের পর সেখানের বাজারগুলো বর্তমানে ইলিশ শূন্য। প্রশাসনের কড়া নজরদারি, জেলে, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সহযোগিতার কারণে এমন চিত্র মিলেছে।
সরেজমিনে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, কোথাও একটি ইলিশের দেখা মেলেনি। উপজেলা সদরের বাইরে ছোট ছোট বাজারগুলোতেও একই অবস্থা। ইলিশ বিক্রেতারা জানান, আগের বছরে এ সময় অন্যান্য মাছের সাথে গোপনে কিছু ইলিশ আসতো। এবারে তাও আসছে না। ক্রেতারাও ইলিশ খুঁজছেন না। এ কারনে বাজার পুরোপুরি শূন্য। বেতাগী পৌর শহরের মাছের আড়তদার ফিরোজ আহম্মেদ জানান,‘কোনভাবেই তারা এখন ইলিশ বিক্রি করেন না। এ সময় সকলের প্রতি তিনি ইলিশ না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন । ’
তবে উপজেলা মৎস্য অফিস সুত্রে জানা গেছে, অসৎ উপায়ে মাছ ধরার অপরাধে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গতকাল (৩ নভেম্বর) গভীর রাতে অভিযান ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এক জেলেকে কারাদন্ড, ১৫ কেজি ইলিশমাছ ও ৬টি নৌকা জব্দ এবং ৯ লাখ ৫৩ হাজার টাকা মূল্যের ৩২ হাজার ৫‘শ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। জেলেদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে প্রশাসন সচেতনতা সভা, বাজার ও মাছ ঘাঁট পরিদর্শন এবং অভিযান ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে।
প্রজনন মৌসুম শুরু হওয়ায় গত ১৪ আক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর টানা ২২ দিন ইলিশ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ সময়ে ইলিশ আহরন,পরিবহন, মজুদ, বাজারজাত করন ও বিক্রি দন্ডনীয় অপরাধ। ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় এ মৌসুমে পর্যাপ্ত ইলিশ মিলবে আর এতে বেশি লাভবান হওয়া যাবে এমনটাই বলে মনে করছে জেলে মনির হোসেন, রাজা হাওলাদার, আব্দুল হাকিম ও মো. ইলিয়াছ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন,‘ ইলিশ ধরা বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং যে সব জেলেরা ইলিশ ধরা বন্ধ রেখেছেন তাদের মাঝে ইতোমধ্যে জনপ্রতি ২০ কেজি করে চাল বিতরন করা হয়েছে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা-আল- রাজীব বলেন,‘ এবারে ইলিশ ধরা বন্ধে ইতিবাচক সাড়া মেলায় বিষখালী নদীতে আরও বেশি ইলিশ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’